ড্রাগের নেশা ও তার প্রতিকার ৷৷ প্রবন্ধ রচনা
![]() |
প্রবন্ধ রচনা
ড্রাগের নেশা ও তার প্রতিকার
উত্তর: মাদকের নেশা নয়, স্বাস্থ্যই হোক জীবনের নতুন প্রত্যাশা।”— জাতিসংঘের স্লোগান
ভূমিকা: ব্যাধি থেকে মুক্তির জন্য যে ভেষজ ব্যবহৃত হয়, তারই নাম ড্রাগ। কিন্তু ড্রাগ বর্তমানে সেই নিরীহ উদ্দেশ্য থেকে অনেকটাই সরে এসেছে। ড্রাগ হয়ে দাঁড়িয়েছে এক বিভীষিকা, এক সর্বনাশা নেশার অন্ধকার।
সর্বনাশা ড্রাগের উৎস ও রকমফের: মানুষের বহু পুরোনো নেশার জিনিস আফিম থেকে তৈরি হয় মরফিন বেস। এ ছাড়াও ড্রাগে থাকে কোকেন। এ থেকেই তৈরি হয়ে চলেছে মারিজুয়ানা, হেরোইন, ব্রাউনসুগার, এল এস ডি, স্ম্যাক ইত্যাদি প্রাণঘাতী ড্রাগ। গন্ধ শুঁকে, ধূমপান করে,
তরলের মতো সেবন করে, চামড়ার নীচে ইঞ্জেকশন দিয়ে অথবা সরাসরি রক্তে মিশিয়ে এই ড্রাগ ব্যবহার করা হয়। এইভাবে সাময়িক উত্তেজনার মোহে যুবসমাজ আলিঙ্গন করে চলেছে সাক্ষাৎ মৃত্যুকে। পশ্চিমি দেশগুলো থেকে চোরাইপথে আমদানি করা ড্রাগস তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে ছড়িয়ে দিচ্ছে বিষাক্ত অভিশাপ।
ড্রাগ ও যুবসমাজ : ড্রাগ বর্তমান যুবসমাজের এক বড়ো অংশকে নিজের কব্জায় এনে ফেলেছে। একদল চোরাচালানকারীর অসাধু অর্থ উপার্জনের লালসা এবং যুবসমাজের সহজে আনন্দ পাওয়ার বাসনা তাদের সর্বনাশ করছে। ড্রাগসের নিয়মিত ব্যবহারের ফলে এর প্রতি এক ধরেনর আসক্তি তৈরি হয়, যা থেকে বেরিয়ে আসা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। কুসংসর্গে পড়ে,
অথবা প্ররোচনায় পা দিয়ে কিংবা স্ট্যাটাস রক্ষা করতে মানুষ এইসব ড্রাগে আসক্ত হয়ে পড়ে। এর ফলে তারা স্নায়বিক দৌর্বল্য, ক্ষুধামান্দ্য, দ্রুত ওজন হ্রাস, বোধশক্তি হারিয়ে যাওয়া ইত্যাদি রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায় ৷
উপসংহার: কঠোর আইন ও প্রখর নজরদারি ছাড়া এইসব অসাধু ব্যবসায়ীদের লোভ সংযত করা সম্ভব নয়। প্রয়োজনে ড্রাগে আসক্ত মানুষকে সংশোধন কেন্দ্রে রেখে যথাযথ চিকিৎসা করাতে হবে। সামাজিকভাবে ব্যাপক প্রচার ও আন্দোলনও সংগঠিত করা প্রয়োজন। তবে কেবল সরকার নয়, বাড়ির লোক ও প্রতিবেশীদেরও অনেক বেশি সচেতন হতে হবে।
এভাবেই একমাত্র রুখে দেওয়া সম্ভব নেশার জালবিস্তার ।
