কমলদিঘিকে ফুটিয়ে তোল তোর রাগে। - বক্তব্য টির তাৎপর্য ব্যাখা করো || কোনি গল্প || দশম শ্রেণী
![]() |
প্রশ্ন:- 'কমলদিঘিকে টগবগ করে ফুটিয়ে তোল তোর রাগে- বক্তব্যটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
অথবা 'যন্ত্রণাকে বোঝ, ওটাকে কাজে লাগাতে শেখ, ওটাকে হারিয়ে দে।– কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বক্তা কোনিকে যন্ত্রণা বুঝতে বাধ্য করেছিলেন। 'ওটাকে কাজে লাগাতে শেখ, ওটাকে হারিয়ে দে' বলার কারণ কী ছিল ?
উত্তর:- সাহিত্যিক মতি নন্দীর 'কোনি' উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র কোনিকে সাঁতার শিখিয়ে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে তুলে ধরাটা ক্ষিতীশের কাছে ছিল
দ্বিমুখী চ্যালেঞ্জ। ক্রীড়াজগতের কাছে প্রশিক্ষক হিসেবে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করার পাশাপাশি হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে কোনির ভিতরে লুকিয়ে থাকা প্রতিভার বিকাশ ঘটানোই ছিল তাঁর লক্ষ্য। কিন্তু কোনিকে এই সাফল্য পেতে গেলে কষ্টের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে-নিংড়ে নিজের সেরাটা বের করে আনতে হবে, যে-কাজটা মোটেই সহজ নয়। আসলে কোনিকে যে-আর্থসামাজিক
পরিবেশ থেকে ক্ষিতীশ তুলে এনেছেন সেক্ষেত্রে কোনির মধ্যে ইচ্ছাশক্তিটাকে জাগ্রত করাটা বেশ কঠিন। সেই কাজ করতে গিয়ে ক্ষিতীশ একটানা তিন ঘণ্টা সাঁতার কাটিয়েছেন। যখনই সে জল থেকে উঠতে চেয়েছে তখনই ক্ষিতীশ নির্দয়ের মতো ঢিল ছুড়েছেন, বাঁশের লগা দিয়ে ভয় দেখিয়েছেন। কোনির সব কষ্ট, সব যন্ত্রণা বুঝেও তিনি এ কাজ করেছেন শুধুমাত্র কোনিকে বোঝানোর জন্য যে, প্রবল যন্ত্রণাকে হার মানিয়ে নিজের ইচ্ছাশক্তিকে জয়ী করে তুলতে হবে, তবেই সাফল্য ধরা দেবে।
বক্তব্যের কারণ
II ক্ষিতীশের মতে, যন্ত্রণা সইতে পারলে সহ্যশক্তি বাড়বে আর কষ্টকে চ্যালেঞ্জ করে হারানোর নামই সাধনা। সোনা যেমন আগুনে পুড়লে খাঁটি হয়,
কোনিকে তেমনি একদিকে দারিদ্র্য-দুঃখ, অপরদিকে যন্ত্রণার আগুনে পুড়ে খাঁটি হতে হবে। ক্ষিতীশ এই বোধটাই কোনির মধ্যে জাগিয়ে তুলতে উদ্ধৃত উক্তিটি করেছেন। তাই তো সারা উপন্যাস জুড়ে রয়েছে প্রেরণার সেই অভয়মন্ত্র-
'ফাইট, কোনি ফাইট।'
