'মাঠ মানে ছুট' কবিতার হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর / math mane chhut poem question answer - school book solver

Pages

Monday, 28 April 2025

'মাঠ মানে ছুট' কবিতার হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর / math mane chhut poem question answer

 


পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা
মাঠ মানে ছুট
কার্তিক ঘোষ



কবি কার্তিক ঘোষের পরিচিতি:-
■ কাতিক ঘোষ ১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্মস্থান হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার প্রতাপনগর অঞ্চলে।কিশোর বয়স থেকেই তিনি সাহিত্য অনুরাগী মানুষ। পরবর্তীকালে তিনি একজন বিখ্যাত
কবি ও ছড়াকার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। কবি রচিত উল্লেখযোগ্য বই" একটা মেয়ে একা", "হাত ঝুমঝুম পা কুমকুম, আমার বন্ধু গাছ', 'দিলমা পাহাড়ের দুলকি', 'এ কলকাতা সে কলকাতা', 'জুঁইফুলের রুমাল প্রভৃতি। তাঁর সম্পাদিত গ্রন্থ "শ্রেষ্ঠ কিশোর কল্পবিজ্ঞান', 'সেরা রূপকথার গল্প', 'সেরা কিশোর অ্যাডভেন্সার প্রভৃতি। ১৯৯৩ সালে তিনি শিশুসাহিত্য জাতীয়-পুরস্কার লাভ করেন।

■ মাঠ মানে ছুট কবিতার নামকরণে যথার্থতা::-
কিশোর ছেলেমেয়েদের কাছে মাঠের গুরুত্ব যথেষ্ট। মাঠ মানে বেশ খানিকটা খোলা জায়গা বা প্রান্তর। এই প্রতিটি ক্রিয়াকর্মের মধ্যেই মানুষের অগাধ আনন্দ, হল্লা, খুশি লুকিয়ে থাকে। মাঠ হল কিশোর চোলোমেয়েদের কাছে সবুজ প্রাণের শাশ্বত একটি প্রদীপ।মাঠ আমাদের মুক্ত জীবনের আনন্দ দান করে। ছুট মানে এগিয়ে চলাকে বুঝিয়েছেন। তাই আমার মতে মানুষ নামকরণটি যথার্থ হয়েছে বলে মনে হয়।

■ মাঠ মানে ছুট কবিতার বিষয়বস্তু আলোচনা:-
নীল আকাশের নীচে খোলা মাঠ। কিশোর ছেলেমেয়েদের কাছে মাঠ হল আনন্দ, খেলাধুলার প্রকৃত স্থান। ফাঁকা মাঠে ছেলেমেয়েরা
স্বাধীনতা খুঁজে পায়। মাঠ মানেই তাদের কাছে ছুটে বেড়ানো। শাশ্বত সবুজ গ্রামের আনন্দসাল হল মাঠ। কিশোর ছেলেমেয়েদের কাছে মাঠ একটি অমূল্য সম্পদ। মাঠের খোলা নির্মল বাতাসে তারা  ছুটে বেড়ানোর জন্য মাঠ্যকেই আশ্রয় করে। তারা আনন্দ পায়। সারা জীবনের মুক্তির স্বাদ পায়।

■ হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর ■
১. শূন্যস্থানে কবিতা থেকে ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে লেখ :
১.১ 'মাঠ' মানে শুধুই মজা নয়।
                               , ছুটি,
'                                ,হল্লা
                                 হাসি
                               ,  খুশি
মাঠ' মানে আসলে .......…
উত্তর : 'মাঠ' মানে আসলে -খুশির অগাধ লুটোপুটি।

১.২ 'ছুট' মানে শুধুই সাহস নয়।
                                   ঢেউ
'                                   ভাঙা
                                    কাঁচা
'ছুট' মনে আসলে--------
উত্তর : 'ছুট' মানে আসলে ছোট পাখির আগল ভাঙা খাঁচা।

২. নিজের ভাষায় লেখো :
২.১ মাঠ' কথাটা শুনে তোমার চোখের সামনে যে ছবি ভেসে ওঠে তা লেখো।
উত্তর : 'মাঠ' কথাটা শুনে আমার চোখের সামনে যে ছবি ভেসে ওঠে তা হল মাঠ সবুজের সমারোহ। মুক্ত বাতাসে আনাগোনা। বুক ভরা আনন্দ ও খুশি। মুক্তির প্রলেপ দেওয়া একটি প্রান্তর ।


২.২ 'মাঠ' এবং 'শৈশব'-এর এক অদ্ভূত যোগ আছে—তোমার বন্ধুদের সঙ্গে বিকেলগুলো কীভাবে মাঠে খেলে বা গল্প করে কাটে, তার বর্ণনা দাও।
উত্তর ঃ মাঠ আমাদের প্রাণ আমরা স্কুলে ছুটির পর প্রতিদিন বৈকালে মাঠে যাই আনন্দ উপভোগ করি বিভিন্ন ধরনের খেলা করি কখনো ক্রিকেট কখনো ফুটবল আবার কখনো দৌড়াদৌড়ি করি ব্যায়াম করি একদিন মাঠে না গেলে ভালো লাগেনা আমারে বন্ধুবান্ধবাও মাঠে যাই আমাদের বড়রাও মাঠে গিয়ে খেলা করে সকলে খুব আনন্দ পাই।

. বাক্যরচনা করো 

ছুটি, বাঁশি, বাজনা, ছুটন্ত, দীপ।
উত্তর : ছুটি - বর্ষায় বন্যার জন্য স্কুলে দুদিন ছুটি দিয়েছিল।
বাঁশি- বাঁশের তৈরি বাঁশি মেলায় বিক্রি হয়।
বাজনা— বিয়ে বাড়িতে খুব জোরে জোরে বাজনা বাজে।
ছুটন্ত -গাড়ি দুটি ফুটন্ত অবস্থায় বিদেশ থেকে পড়ে গেল।
দীপ- সন্ধ্যায় গ্রামে গ্রামে দীপ জ্বলে ওঠে।

৪. ক্রিয়াটি বেছে নিয়ে আলাদা করে লেখো :
৪.১ মার্চে শিশুরা অগাদ খুশিতে লুটোপুটি খায়।উত্তর : লুটোপুটি খায়।
৪.২ ফুট মানে বুঝতে গেলে ছুটতে হবে।
উত্তর ঃ ছুটতে হবে।
৪.০ আর কিছু বলব না।
উত্তর : বলব।
৪.৪ ছুটি সাত সমুদ্দুরের ঢেউকে ডেকে আনে
উত্তর : ডেকে আনে।
৪.৫জীবনে আমি শুধু এগিয়ে যাব।
উত্তর : এগিয়ে যাব।

৫. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো :
ছুট, হাসি, দিন, শাশ্বত, আশা।

উত্তর : ছুট > থামা।
হাসি কানা।
দিন-রাত।
শাশ্বত- ক্ষণস্থায়ী।
আশা-নিরাশা।

৬. অর্থ লেখো:-
অথই, হল্লা , নিকেল, আগল, পক্ত

উত্তর-
অথই >  যার তল নেই ।
হল্লা  > চেঁচামেচি।
নিকেল  >  ধাতুর প্রলেপ।
আগল। > দরজার খিল।
পক্ত >  মজবুত।

৭. সমার্থক শব্দ লেখো :
দিন, পা, সমুদ্র, ঘুম, শক্ত।
উত্তর : দিন— দিবা, দিবস।।
পা–চরণ, পদ।
সমুদ্র—অর্ণব, সিন্ধু।
ঘুম—নিদ্রা, সুপ্তি।
শক্ত-কঠিন, বলবান।

৮. বিশেষ্য ও বিশেষণ আলাদা করে লেখো :
হারানো বাঁশি শাশ্বত দীপ পোত্ত ভাষা ভাঙা খাঁচা সবুজ সমুদ্দুর।
উত্তর :
বিশেষা  >  বাঁশি, ভাষা, সমুদ্দুর, দীপ, খাঁচা।

বিশেষণ  >  হারানো ,পক্ত, সবুজ,শাশ্বত, ভাঙ্গা,

৯. কোনটি বেমানান তার নীচে দাগ দাও ঃ
১১ মাঠ, ছুট, মজা, লুটোপুটি, বাড়ি।
উত্তর : মাঠ, ছুট, মজা, লুটোপুটি, বাড়ি

১.২ ছুটি, হাসি, বাঁশি, নাচ, পড়া
উত্তর : ছুটি, হাসি, বাঁশি, নাচ, পড়া

১.৩ আশা, বাঁচা, ছোটো, মজা, ঘুম।
উত্তর ঃ আশা, বাঁচা, ছোটো, মজা, ঘুম

৯.৪ পাখি, মাঠ, আকাশ, গাছ, সমুদ্র।
উত্তর : পাখি, মাঠ, আকাশ, গাছ, সমুদ্র
৯.৫ মজা, খুশি, হল্লা, নাচা, ভাঙা।
উত্তর : মজা, খুশি, হল্লা, নাচা, ভাঙা

১০. বর্ণগুলিকে সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :
পু টো টি লু—লুটোপুটি ।
ট ন্ত ফু— ফুটন্ত।
আ ল গ - আগল।
দ্দু স মুর-সমুদ্দুর।
ত শ্ব শা–শাশ্বত ।

১১. এলোমেলো শব্দগুলিকে সাজিয়ে বাক্য গঠন করো :
১১.১ কী মানে পাখির ছোট্ট ভাঙা আগল খাঁচা ছুট।
উত্তর ঃ ছুট মানে কী ছোট্ট পাখির আগল ভাঙা খাঁচা!

১১.২ আর বলব না কিছু ছুটেই কী দেখো ছুট মানে।
উত্তর : ছুট মানে কী ছুটেই দেখো—আর কিছু বলব না।

১১.৩ শাশ্বত দীপ এক তো মাঠ মানে সবুজ প্রাণের।
উত্তর : মাঠ মানে তো সবুজ প্রাণের শাশ্বত এক দীপ।

১১.৪ ঘুম তাড়ানো মন হারানো বাঁশি কী মাঠ মানে।
উত্তর : মাঠ মানে কী ঘুম তাড়ানো মন হারানো বাঁশি।

১১.৫ ছুটি মানে কী মজাই শুধু মাঠ মানে মাঠ কী।
উত্তর ঃ মাঠ মানে কী মজাই শুধু মাঠ মানে কী ছুটি....

১২. একই অর্থের অন্য শব্দ পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো :
আনন্দ, গড়াগড়ি খাওয়া,চিৎকার-চেঁচামেচি, বংশী, চিরদিনের, বাঁধন, পিঞ্জুর

উত্তর : আনন্দ–মজা।
গড়াগড়ি খাওয়া—লুটোপুটি‌
চিৎকার-চেঁচামেচি—হল্লা।
বংশী—বাঁশি।
চিরদিনের—শাশ্বত।
বাধন—বাঁধা।
পিঞ্জর - খাঁচা।

১৩. এককথায় প্রকাশ করো :
১৩.১ যা ছুটে চলেছে
উত্তর : ছুটন্ত।

১৩.২ যা ফুটছে—
উত্তর : ফুটন্ত।

১৩.৩ যে ঘুমিয়ে আছে—
উত্তর : ঘুমন্ত।

১৩.৪ যে নেচে চলেছে-
উত্তর : নাচনা। .

১৪. শব্দযুগলের অর্থপার্থক্য দেখাও :
দীপ/দ্বীপ, ভাষা/ভাসা, দীন/দিন
উত্তর :
দীপ -প্রদীপ
দ্বীপ—জলবেষ্টিত এলাকা।

ভাসা- ভেসে থাকা।
ভাষা—মুখের কথা

দীন-দরিদ্র।
দিন–দিবস।

১৫. একই শব্দকে দু-বার বাক্যে ব্যবহার করে দেখাও, তাদের অর্থ একবার ব্যবহার করলে যা বোঝায় কীভাবে বদলে গেল?
ঘুম, খুশি, ভাঙা, সোনা, সবুজ।

ঘুম- (১) রাত্রি আটটা বাজলেই আমার ঘুম পায় (২) ছেলেটি ঘুম ঘুম চোখে পড়াশোনা করছিল ।

খুশি-(১) ছেলেটি খুশি মনে ভিখারীকে ১০ টাকা দান করল।
(২) স্কুলের সাত দিন ছুটি হওয়ায় সকলের মনে খুশি খুশি ভাব।

ভাঙা-(১) আমার বাবা আমাকে একটা ভাঙ্গা সাইকেল কিনে দিল।
(২) যাত্রা দলে কাল সব ভাঙ্গা ভাঙ্গা গলায় গান গেয়েছিল।

সোনা -(১) সোনা  মূল্যবান ধাতু।
(২) মা আমাকে সোনা সোনা বলে আদর করছিল।

সবুজ-( ১) বসন্তকালের সকল গাছপালা রং সবুজ হয়।
(২) শরৎকালে মাঠে যেদিকেই তাকানো যায় শুধু সবুজ সবুজ দেখায়।


১৯.১ কৰি কাৰ্ত্তিক ঘোষের লেখা দুটি ছড়ার বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : করি কার্তিক ঘোষের লেখা দুটি ছড়ার বইয়ের নাম 'একটা মেয়ে একা', 'আমার বন্ধু গাছ'।

১৯.২ তার সম্পাদিত দুটি বইয়ের নাম করো।
সম্পাদিত দুটি বইয়ের নাম 'শ্রেষ্ঠ কিশোর কল্পবিজ্ঞান', 'সেরা রূপকথার গল্প'।

১৬.৩ কোন বইয়ের জন্য তিনি 'সংসদ" পুরস্কারে সম্মানিত হন?
উত্তর: "টুপুর জন্য" বইয়ের জন্য তিনি সংসদ' পুরস্কারে সম্মানিত হন।

১৭. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১৭.১ কবি সুশির অবাধ লুটোপুটি কোথায় খুঁজে পান ?
উত্তর : কবি সুশির অবাধ লুটোপুটি খুঁজে পান নীল আকাশের নীচে খোলা মাঠে।

১৭.২ কোথায় গেলে কবি তাধিন তাধিন শব্দ শুনতে পান?
উত্তর : মাঠে গোলে কবি ছোটো শিশুর নূপুর পরা পায়ে তাধিন তাধিন শব্দ শুনতে পান।

১৭.৩ বুঝতে গেলে কী করতে হবে?
উত্তর- বুঝতে গেলে খোলা মাঠে গিয়ে নিজেকে ছুটতে হবে।

১৭.৪ নিকেল করা বিকেলের আলো কবি কোথায় দেখতে পান ?
উত্তর : "নিকেল করা বিকেলের আলো কবি দেখতে পান খোলা আকাশের নীচে মাঠে দাঁড়িয়ে।

১৭.৫ পাখির খাঁচার আগল ভাঙলে পাখি কী করে?
উত্তর : পাখির খাঁচার আগল ভাঙলে পাখি খোলা আকাশে মুক্ত বাতাসে স্বাধীনভাবে খেলে বেড়ায়।


১৭.৬ কবির কাছে মাঠ বলতে যা বোঝায় তা যে-কোনো তিনটি ভাবনা কবিতা থেকে বুঝে নিয়ে লেখো।
উত্তর : কবির ভাবনার (
ক )মাঠ মানে ছেলেমেয়েদের শৈশব জীবনে চিরন্তন সবুজ প্রাণের প্রদীপ।  ।
(খ) মাঠ মানে কেবলমাত্র চেঁচামেচি চিৎকার আর হাসি।
(গ) মাঠ বলতে বোঝায় নীল আকাশের নীচে শুধুই মজা।

১৭.৪ ছুট অৰ্থে কবি বা যা বলেছেন তা (তিন-চারটি বাক্যে) লেখো।

'ছুট' মানে বেঁচে থাকার জন্য সাহাসের সঙ্গে ছুটে চলা। যেমন একটা ছোটো পাখি ভাঙা খাঁচা
থেকে দেরিতে পারিনোভাকে নিজের পেয়ালখুশি মতো আকাশে উড়ে বেড়ায়। ছুটে চলার মধ্য দিয়েই বেঁচে থাকার আনন্দ মানুষ অনুভব করে। ছুটে চলার মধ্য নিয়েই মানুষ মুক্ত জীবনের রসদ আহরণ করে। ছুটে চলার মধ্য দিয়ে মানুষ জীবনে
আনন্দ পাভ করে।

১৭.৮ মাঠ  " আর "ছুটা তোমার কাছে কী অর্থ নিয়ে ধরা দেয় তা নিজের ভাষায় লেখো।
মাঠ হল আনন্দ দত সবুজ প্রাণের আনন্দ সম্বল হল মাঠ। মাঠ হল সবুজের সমারোহ ।
যেখানে আমরা মুক্ত জীবনের স্বাদ খুঁজে পাই।

অন্যদিকে ছুট কথার অর্থ হল ছুটে চলা। অর্থাৎ এগিয়ে চলে জীবন ।জীবন মানেই ছুটে সকলের চেয়ে এগিয়ে চলা। জীবনের উন্নতির জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলো


অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
এককথায় উত্তর দাও।

★  মাঠ শব্দটির একটি প্রতিশব্দ লেখো
উত্তর : প্রান্তর।

★ মাঠে মানে মজা অথবা ছুট কোনটি?
উত্তর : মজা।

★ ছুট মানে ছুটি অথবা বাঁচা কোনটি ?
উত্তর : বাঁচা।

★ ছুট মানে ছুটি অথবা বাঁচা কোনটি ?
উত্তর : বাঁচা।
★ ছোট্ট পাখির আগল ভাঙা খাঁচা কোনটি?
উত্তর : মাঠের।
★ ছোট্ট পাখির আগল ভাঙা খাঁচা কোনটি?
উত্তর : মাঠের।

 ★ মাঠে মানে মজা অথবা ছুট কোনটি?
উত্তর : মজা।
★ বিকেলবেলার সঙ্গে কবি কার তুলনা করেছেন?
উত্তর : প্রান্তর। তুলনা করেছেন?

এক কথায় উত্তর দাও :
★  আমরা কোথায় গেলে খুশির অগাধ লুটোপুটি দেখতে পাই?
উত্তর : আমরা মাঠে গেলে খুশির অগাধ লুটোপুটি দেখতে পাই।
★  মন হারানো বাঁশির সুর আমরা কোথায় গেলে শুনতে পাই।
উত্তর : মন হারানো বাঁশির সুর আমরা মাঠে গেলে শুনতে পাই।
★ খাঁচার পাখি কী চায় ?
উত্তর ঃ খাঁচার পাখি খাঁচার বদ্ধ জীবন থেকে মুক্ত হতে চায়।

★  ছুট কথাটির প্রকৃত অর্থ কী জানতে হলে তোমাকে কী করতে হবে ?
উত্তর ঃ ছুট কথাটির প্রকৃত অর্থ কী তা জানতে হলে নিজেকে ছুটে দেখতে হবে।


★  ‘লুটোপুটি' কাকে বলে?
উত্তর ঃ গড়াগড়ি খাওয়াকে কথ্যভাষায় বলে লুটোপুটি।

★ মাঠ মানে ঘুম তাড়ায় আর কী করে ?
উত্তর : মাঠ মানে ঘুম তাড়ানো আর মন হারানো বাঁশি।

★  মাঠ মানে কীসের আসার দিন?
উত্তর : মাঠ মানে নিকেল করা বিকেল আসার দিন।

★ একজন বিখ্যাত কবি ও ছড়াকারের নাম লেখো। উত্তর ঃ একজন বিখ্যাত কবি ও ছড়াকারের নাম কার্তিক ঘোষ।

★  কবি কার্তিক ঘোষের ছেলেবেলা কোথায় কেটেছে?
উত্তর : কবি কার্তিক ঘোষের ছেলেবেলা হুগলি জেলার আরামবাগে কেটেছে।
★  ‘মাঠ' আর 'ছুটি' দুটি শব্দের মধ্যে কী আনন্দ লুকিয়ে আছে?
উত্তর : ফাঁকা মাঠে ছুটির দিনে দল বেঁধে খুব ছুটোছুটি করে আনন্দ পাওয়া যায়।

★  'অর্থই কথার মানে কী ?
উত্তর : যে-কোনো জলাশয়ের উপরিতল থেকে নীচের ঠাঁই বা তল পাওয়া যায় না এমন স্থানকে বলে অথই।

★ একজন বিখ্যাত কবি ও ছড়াকারের নাম লেখো। উত্তর ঃ একজন বিখ্যাত কবি ও ছড়াকারের নাম কার্তিক ঘোষ।

★  কবি কার্তিক ঘোষের ছেলেবেলা কোথায় কেটেছে?
উত্তর : কবি কার্তিক ঘোষের ছেলেবেলা হুগলি জেলার আরামবাগে কেটেছে।
★  ‘মাঠ' আর 'ছুটি' দুটি শব্দের মধ্যে কী আনন্দ লুকিয়ে আছে?
উত্তর : ফাঁকা মাঠে ছুটির দিনে দল বেঁধে খুব ছুটোছুটি করে আনন্দ পাওয়া যায়।

★  লিপির পিপির পিপ' শব্দগুলি উল্লেখ করে কবি আমাদের কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তর : বেশির ভাগ ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েরা সবুজ ঘাসে ঢাকা ফাঁকা মাঠ দেখতে পেলে পরস্পর কাঁধে দু-হাত ধরে মনের আনন্দে মুখে ওই পিপির পিপির পিপ শব্দে প্রাণপণে দৌড়ে বেড়ায়।

★  'ছুট' আর 'আশা' শব্দ দুটির মধ্যে কবি আমাদের কী সামঞ্জস্য বুঝিয়েছেন ?
উত্তর ঃ ছোটোবেলা থেকে আমরা যত বড়ো হতে থাকি ততদিন যা কিছু পাওয়ার জন্য ছোটাছুটি করি তার পিছনে আছে শুধু আশা আর আশা।

★  'ছুট মানে কী সাহস শুধু ছুট মনে কি বাঁচা?' বলতে কবে কী বুঝিয়েছেন ?
উত্তর ঃ ওপরের কথাগুলির মধ্যে কবি বোঝাতে চেয়েছেন যে ছুট মানে শুধু সাহস করে বেঁচে থাকা মাত্র নয়, প্রকৃত আনন্দ নিয়ে ছোটাতেই ছুট-এর সার্থকতা।

★  'ছুট মানে কি ছোট্ট পাখির আগল ভাঙা খাঁচা'—কথাগুলির মধ্যে কোন বক্তব্য প্রকাশ পেয়েছে!
উত্তর : শুধু স্বাধীনতা লাভ করলেই হয় না, স্বাধীনতা লাভ করে নিজেকে সমৃদ্ধ করে তোলাই হল ছোট্ট পাখির খাঁচার আগল ভেঙে বেরোনোর সার্থকতা।
★  'অর্থই কথার মানে কী ?
উত্তর : যে-কোনো জলাশয়ের উপরিতল থেকে নীচের ঠাঁই বা তল পাওয়া যায় না এমন স্থানকে বলে অথই।

★ 'মার্চ' আর 'তাধিন ধিন' কথাগুলির মধ্যে মনের কোন্ খুশি আছে?
উত্তর : মাঠ মানে সবুজ ঘাসে ঢাকা অনেক লম্বাচওড়া ফাঁকা জায়গা। আর সেখানে যারা নাচতে ভালোবাসে তারা তাধিন-ধিন নুপুরের পারের বাজনা বাজিয়ে নাচে।

★  কবি শাখত এক দীপ' বলেছেন কাকে?
উত্তর : ‘মাঠ মানে ছুট' কবিতায় কবি কার্তিক ঘোষ বলেছেন, মাঠে দেখা যায় চোখ জুড়োনো সবুজ ঘাসের মেলা। তাই তিনি বলেছেন মাঠ মানে তো সবুজ প্রাণের শাশ্বত এক দীপ।

★  'আগল' কথার মানে কী?
উত্তর : আগল কথার মানে খিল, বাধা, বেড়া, ঝাঁপ, বন্ধন ইত্যাদি।

★ 'ছুটন্ত' আর 'ফুটন্ত' শব্দদুটির অর্থ কী?
উত্তর : ছুটন্ত কথার মানে হল ছুটছে এমন, আর ফুটন্ত কথার মানে ফুটছে এমন।

★  ‘সাতটি সবুজ সমুদ্দুরের ঢেউ' বলতে তুমি কী বোঝো?
উত্তর : সবুজ হল একটি রঙের প্রতীক, এখানে সাতটি সবুজ সমুদ্র বলতে সাতরঙা রামধনুর মতো জীবনকে বৈচিত্র্যময় করে তোলাই হল প্রকৃত জীবন।

★ 'ছুট মানে তো জীবন এবং ছুট মানে যে সোনা' কথাগুলির মধ্যে কোন বক্তব্য বোঝানো হয়েছে।
উত্তর : জীবন মানে চঞ্চলতা, তাই কথাগুলিতে বলা হয়েছে, ছুট মানে জীবন সোনার মতো চির উজ্জ্বল।

★ 'মাঠ' এবং 'ছুট' মানে আসলে কী তা লেখো।
উত্তর : মাঠ হল মুক্তির আনন্দ। শাশ্বত সবুজ প্রাণের আনন্দ-স্থল হল মাঠ। আর ছুট অর্থ ছুটে চলা। জীবনের উন্নতির জন্য নির্দিষ্ট পথে এগিয়ে চলাই হল ছুট। মাঠ ও ছুট আমাদের জীবনে বেঁচে থাকার আনন্দ ।

★  কার্তিক ঘোষ রচিত 'মাঠ মানে ছুট' কবিতাটির মূলভাব উল্লেখ করো।
উত্তর ঃ ছোটোছোটো ছেলেমেয়েদের কাছে মাঠ হল মুক্ত জীবন খুঁজে পাওয়ার একটি স্থল। নীল আকাশের নীচে বিশাল মাঠে দাঁড়িয়ে আমরা বেঁচে থাকার রসদ সংগ্রহ করতে পারি। মাঠ মানেই আনন্দ, সবুজের প্রাণের শাশ্বত একটি প্রদীপ। জীবনের নির্দিষ্ট পথে এগিয়ে চলাই কবির ভাষায় ছুট, যা ছুটে চলার গতিকে নির্দেশ করে। জীবনের সঠিক পথে এগিয়ে চলাই হল ছুট। এই ছুটে চলার মধ্য দিয়েই আমরা জীবনকে খুঁজে পাই যা সাতটি সবুজ সমুদ্রের ঢেউকে ডেকে নিয়ে আসে। এভাবেই আমরা বেঁচে থাকার আনন্দ খুঁজে পাই।
★  ‘ছুট মানে কী ছুটেই দেখো—আর কিছু বলব না'—এই উক্তিতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : ওপরের কথাগুলির মধ্যে খুব স্পষ্ট করেই কবি বুঝিয়েছেন যে, জীবনযুদ্ধে প্রাণপণে ছুটে চলো, সার্থকতা লাভ করবেই করবে।

★  বিকেলের সূর্যের কিরণকে কবি কার সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তর : মাঠে দাঁড়িয়ে বিকেলের অস্তগামী সূর্যের কিরণকে কবি সোনার প্রলেপের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

★  ‘শাশ্বত এক দীপ' বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর ঃ কবির মতে মাঠ মানে সবুজের সমারোহ। সবুজ প্রাণের শাশ্বত একটি প্রদীপ হল মাঠ।

★ 'ছুট' কথাটির মধ্য দিয়ে কবি কী বলতে চেয়েছেন?
উত্তর : 'ছুট' কথাটির মধ্য দিয়ে কবি বলতে চেয়েছেন ছুটে চলা বা এগিয়ে চলা। কবির মতে জীবনের পরম লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়াই হল ছুট।

★  মাঠ বলতে তোমরা কী বোঝো?
উত্তর : মাঠ বলতে আমরা বুঝি সবুজ ঘাসে ভরা বিশাল একটি জায়গা। এখানে আমরা খেলাধুলা করে আনন্দ উপভোগ করে থাকি। পড়াশোনার শেষে প্রতিদিন মাঠে খেলাধুলা করে আমরা জীবনে মুক্তির আনন্দ লাভ করি।