দারোগাবাবু এবং হাবু অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর পঞ্চম শ্রেণি বাংলা / daraga babu & habu question answer - school book solver

Pages

Friday, 3 January 2025

দারোগাবাবু এবং হাবু অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর পঞ্চম শ্রেণি বাংলা / daraga babu & habu question answer

 




পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা
   দারোগাবাবু এবং হাবু
 
ভবানীপ্রসাদ মজুমদার

থানায় গিয়ে সেদিন ভোরে
বললে কেঁদেই হাবু,
নালিশ আমার মন দিয়ে খুব
শুনুন বড়োবাবু।
চার চারজন ভাই আমরা
একটা ঘরেই থাকি,
দুঃখে আমি সারা দিন-রাত
ভগবানকেই ডাকি।
বড়দা ঘরেই সাতটা বেড়াল
পোষেন ছোটো-বড়ো,
মেজদা পোষেন আটটা কুকুর
যতই বারণ করো।

সেজদা পাগল, দশটা ছাগল
রাখেন ঘরেই বেঁধে,
গন্ধে তাদের প্রাণ যায় যায়
মরছি কেঁদে কেঁদে।
দারোগাবাবু বললে, হাবু
তোমরা কি সব ভুলো
সদাই খুলে রাখবে ঘরের
জানলা দরজাগুলো।
শুনেই হাবু বেজায় কাবু
বললে করুণ সুরে,
দেড়শো পোষা পায়রা আমার
যাবেই যে সব উড়ে।

হাতে কলমে প্রশ্নের উত্তর

১.ঠিক কথাটি বেছে নিয়ে বাক্যটি আবার লেখো :
১.১ হাবু থানায় গিয়েছিল (বেড়াতে / অভিযোগ জানাতে / চিকিৎসা করাতে / হারানো পাখি খুঁজতে)।
উত্তর- অভিযোগ জানাতে

১.২ বাড়িতে পোষা হয় এমন পাখির মধ্যে পড়ে না (টিয়া / পায়রা/ ময়না/ কোকিল)।
উত্তর- কোকিল

১.৩ হাবু ও তার দাদাদের পোষা মোট পশু-পাখির সংখ্যা (১৭৫/১৫০/১৭০/২৫)।
উত্তর- ১৭৫ টি।

শব্দার্থ : বারণ – নিষেধ / মানা। সদাই - সবসময়। করুণ – কাতর / আর্ত। নালিশ – অভিযোগ ।

২.. “ক' স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :

      ক স্তম্ভ                ক স্তম্ভ

     
উত্তর:-
নালিশ.       
অভিযোগ
বারণ             
নিষেধ
পাগল.             
উন্মাদ
সবসময়          সদাই

কাবু                কাহিল

৩. শব্দঝুড়ি থেকে বিশেষ্য ও বিশেষণ আলাদা করে নিয়ে লেখো :

শব্দঝুড়ি     বিশেষ্য      বিশেষণ

পায়রা         পায়রা          কাবু       কাবু                  নালিশ        করুণ

খুব               দুঃখ           পোষা

নালিশ           থানা           খুব           

করুণ.       বড়োবাবু   চারজন
দুঃখ                             
চারজন,
থানা                                   
বড়োবাবু                                  চারজন

৪.‘কেঁদে কেঁদে’- এরকম একই শব্দকে পাশাপাশি দু'বার ব্যবহার করে নতুন পাঁচটি শব্দ তৈরি করো
উত্তর- ডেকে ডেকে,হেসে হেসে, নেচে নেচে , ভেবে ভেবে ,বসে বসে।


৫. ক্রিয়ার নীচে দাগ দাও ঃ
৫..১ বললে কেঁদেই হাবু।
উত্তর : বললে কেঁদেই হাবু।

৫. ২ সাতটা বেড়াল পোষেন ছোটোবড়ো।
উত্তর : সাতটা বেড়াল পোষেন ছোটোবড়ো।

৫.৩ বললে করুণ সুরে।
উত্তর : বললে করুণ সুরে।

৫.৪ যাবেই যে সব উড়ে।
উত্তর : যাবেই যে সব উড়ে

৫. ভগবানকেই ডাকি।
উত্তর : ভগবানকেই ডাকি

৬. বাক্যরচনা করো :
নালিশ, ভগবান, বারণ, করুণ, ভোর।

উত্তর : নালিশ— গ্রামে কিছু করলে সবাই পঞ্চায়েতে নালী জানায়।
ভগবান— ভগবান সর্বদা মঙ্গলময়।
বারণ- নদীর ধারে যেতে সবাই বারণ করে।
করুণ— পড়া না পেরে রোহিত করুণ চোখে দাঁড়িয়ে আছে।
ভোর— ভোর হলেই আলো ফুটে ওঠে।

৭. ঘটনাক্রম অনুযায়ী বাক্যগুলি সাজিয়ে লেখো :
৭.১ হাবু থানার বড়োবাবুর কাছে কান্নাকাটি করে নালিশ জানাল।
৭.২ এই জীবজন্তুর গন্ধে হাবুর প্রাণ যায় যায়।
৭.৩ এতে হাবুরা চার ভাই একটা ঘরেই থাকে।

৭.৪ বড়দা সাতটা বেড়াল, মেজদা আটটা কুকুর, সেজদা দশটা ছাগল ও হাবু নিজে দেড়শো পায়রা পোষে।
৭.৫ দারোগাবাবুর উত্তর শুনে হাবু বেজায় কাতর হয়ে পড়ল।

উত্তর : >হাবু থানার বড়োবাবুর কাছে কান্নাকাটি করে নালিশ জানাল।
>হাবুরা চার ভাই একটা ঘরেই থাকে।
>বড়দা সাতটা বেড়াল, মেজদা আটটা কুকুর, সেজদা দশটা ছাগল ও হাবু নিজে দেড়শো পায়রা পোষে।
>জীবজন্তুর গন্ধে হাবুর প্রাণ যায় যায়।
>দারোগাবাবুর উত্তর শুনে হাবু বেজায় কাতর হয়ে পড়ল।

৮. কবিতাটিতে অন্ত্যমিল আছে, এমন পাঁচজোড়া শব্দ লেখো ঃ
উত্তর : হাবু—বড়ো বাবু।
থাকি- ডাকি
বড়ো -করো

বেঁধে - কেঁদে
ভুলো- গুলো
সুরে - উড়ে

৯ বাক্য বাড়াও ঃ
৯.১ হাবু গিয়েছিল (কোথায় ? কখন ?)
উত্তর : হাবু সেদিন ভোরে থানায় গিয়েছিল।

৯.১. বড়দা পোষেন বেড়াল। (কয়টি? কেমন ?)
উত্তর : বড়দা পোষেন ছোটো-বড়ো সাতটা

৫.২ হাবু ভগবানকে ডাকে। (কেন ? কখন ?)
উত্তর ঃ হাবু দুঃখে দিনরাত ভগবানকে ডাবে

৯.৪ দারোগাবাবু বলেন ঘরের জানলা-দরজা খুলে রাখতে। (কাকে?)
উত্তর ঃ দারোগাবাবু হাবুকে বলেন ঘরের জানলা-দরজা খুলে রাখতে।

৯.৫ হাবুর পায়রা উড়ে যাবে। (কয়টি?)
উত্তর ঃ হাবুর দেড়শোটা পায়রা উড়ে যাবে।

১০.১ ছোটোদের জন্য ছড়া কবিতা লিখেছেন, এমন দুজন কবির নাম লেখো।
উত্তর ঃ শঙ্খ ঘোষ, সুনির্মল বসু।

১০.২ তোমার পাঠ্য কবিতাটির কবি কে?
উত্তর ঃ ভবানীপ্রসাদ মজুমদার।

১০.৩ তাঁর লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : মজার ছড়া, নাম তাঁর সুকুমার।

১১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :

১১.১ হাবু কোথায় গিয়ে কার কাছে নালিশ জানিয়েছিল?
উত্তর : হাবু থানায় গিয়ে তিন দাদার নামে দারোগাবাবুর কাছে নালিশ জানিয়েছিল।

১১.২ হাবুর বড়দা, মেজদা ও সেজদা ঘরে কী কী পোষেন?
উত্তর : ঘরে হাবুর বড়দা সাতটা বেড়াল, মেজদা আটটা কুকুর ও সেজদা দশটা ছাগল পোষেন।

১১.৩ হাবুর করুণ অবস্থার জন্য সে নিজেও কীভাবে দায়ী ছিল বলে তোমার মনে হয়?
উত্তর ঃ হাবু নিজে দেড়শো পায়রা একই ঘরে পোষে। সেই কারণে হাবু নিজেও তার করুণ অবস্থার জন্য দায়ী।

১১.৪ দারোগাবাবু হাবুকে যে পরামর্শ দিলেন সেটি তার পছন্দ হল না কেন?
উত্তর : দারোগাবাবু জানতেন না যে হাবুর নিজের দেড়শো পোষা পায়রা রয়েছে। ঘরের দরজা-জানলা খুললে পায়রাগুলো উড়ে যাবে, সেহেতু দারোগাবাবুর পরামর্শ হাবুর পছন্দ হল না।

১১.৫ দারোগাবাবুর কাছে হাবু তার  দুঃখের বিবরণ দিয়েছিল, তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর ঃ একদিন ভোরে হাবু কাঁদতে কাঁদতে থানার বড়োবাবুর কাছে তার দাদাদের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে এসেে তারা চার ভাই। এতই দুঃখ হাবুর যে দিনরাত সে ভগবানকেই ডাকে। বড়দা ছোটো-বড়ো সাতটা বেড়াল পোষেন, আব
মেজদা আটটা কুকুর পোষেন। একই ঘরের মধ্যে তাদের উৎপাতে হাবুর ঘুম আসে না।
হাবুর সেজদাকে একটা পাগল বলা যায়। তার দশটা ছাগল ওই ঘরের মধ্যে থাকে। সেই ছাগলের গন্ধে হাবু কেঁদে মরে। দারোগাবাবু হাবুকে উপদেশ দিলেন যে, ঘরের জানলা- দরজাগুলি খুলে রাখতে। তাতে ঘরের গন্ধটা বেরিেয়ে যাবে। দারোগাবাবুর কথা শুনে হাবু মুশকিলে পড়ে যায়, কারণ ওই ঘরের মধ্যে তারও দেড়শো পায়রা আছে। ঘে জানলা-দরজা খোলা রাখলে তার পোষা পায়রাগুলি নিশ্চিত উড়ে যাবে।
১১.৬ তোমার পোষা বা তুমি পুষতে চাও এমন কোনো প্রাণীর ছবি আঁকো বা তার সম্পর্কে বন্ধুকে লেখো।
উত্তর : বিড়াল  গৃহপালিত প্রাণী। আমার পোষা বেড়ালের নাম মিনি। দেখতে অনেকটা বাঘের মতো। তাকে ‘বাঘে মাসি' মনে হয়। তার চারটি পা, দুটি চোখ, দুটি কান ও একটি লেজ আছে। প্রতিটি পায়ে পাঁচটি করে ধারালো নখ আছে। সারা শরীর লোমে ঢাকা। তার দাঁত, নখ খুবই শক্ত ও ধারালো। সে খুবই শান্ত ও আরামপ্রিয়। আদর পেলে কোলের মধ্যে উঠে পড়ে। তার চোখ রাতেরবেলায় জ্বলজ্বল করে এবং রাতের অন্ধকারে সে দেখতে পায়। সুযোগ পেলেই অবশ্য বাড়ির দুধ, মাছ, মাংস ও অন্যান্য প্রিয় খাদ্য চুরি করে খায়। এ ছাড়া ভাত, ডাল, রুটিও খায়। বেড়ালটি ইঁদুর মেরে গৃহস্থের উপকার করলেও অপকারই করে বেশি। বাড়িঘর নোংরা করে। এ ছাড়া ছোটোদের ডিপথিরিয়া
প্রভৃতি রোগও বেড়ালের দ্বারা ছড়ায়। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই বেড়াল দেখতে পাওয়া যায়।

এই কবির আরেকটি কবিতা তোমার পাঠ্য কবিতাটির সঙ্গে মিলিয়ে পড়ো :
দারুণ রেগেই বললে দাদা
করলি কি তুই খোকা ?
আঁকার কথা প্রজাপতি
আঁকলি শুঁয়োপোকা!
পুজোর ছুটির পরেই খাতা
দিবি যখন জমা,
ইস্কুলেতে স্যার কি তোকে
খোকার বুদ্ধি
রং-তুলি সব সরিয়ে রেখে
বললে হেসেই খোকা
আমায় তুমি মিছেই দাদা
ভাবছ নেহাত বোকা!
লেখাপড়ার কাজে আমি
দিই না মোটেও ফাঁকি,
এখনও তো পুজোর ছুটির
সাতাশটা দিন বাকি!
করবে তখন ক্ষমা ?
ততদিনেও এটা কি আর
থাকবে শুঁয়োপোকা?
প্রজাপতি হবেই হবে
নইকো আমি বোকা !