রাস্তায় ক্রিকেট খেলা, || হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর || সপ্তম শ্রেণী
সপ্তম শ্রেণি বাংলা
নবম পাঠ
গল্প : রাস্তায় ক্রিকেট খেলা
লেখক : মাইকেল অ্যানটনি
লেখক পরিচিতিঃ মাইকেল আনিটনির জন্ম ওয়েস্ট ইন্ডিজের মেয়ারোতে ১৯৩০ সালে। মেয়ারো জিনিদাদে শিক্ষাপর্ব শেষ করে ইস্পাত কারখানায় কাজ নেন। তারপর ইংল্যান্ডসহ নানা দেশ বিদেশে পাড়ি জমান। পরম মমতা ও আশ্চর্য দক্ষতায় তিনি আপাত
তুচ্ছ ঘটনাকে সঞ্জীব করে তোলেন। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর জীবন তার রচিত গল্পে আশ্চর্য মূর্ত ও সজীব হয়ে উঠেছে। তাঁর বিখ্যাত উপন্যাসগুলি হল 'গ্রিন ভেজ বাই দ্য রিভার' (নদীর ধারে সবুজ দিনগুলি, ১৯৬৭), 'স্ট্রিটস অফ কনফ্লিক্ট' (পথে পথে সংঘাত, ১৯৭৬) উল্লেখযোগ্য। 'ক্রিকেট ইন দ্য রোড অ্যান্ড আদার স্টোরিজ' (রাস্তায় ক্রিকেট ও অন্যান্য গল্প, ১৯৭৩) তাঁর রচিত গল্পগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। পাঠ্য গল্পটির তরজমা করেছেন তীর্থঙ্কর চট্টোপাধ্যায়।
রচনা পরিচয় : গদ্যাংশটিতে তিন বন্ধুর মধ্যে রাস্তায় ক্রিকেট খেলতে খেলতে বন্ধুত্ব বিচ্ছেদ এবং তার দীর্ঘদিন বারে অভিমান দূরে সরিয়ে রেখে আবার তাদের ক্রিকেট খেলার মধ্যে মিলন হওয়াকে কেন্দ্র করে গল্পটি রচিত হয়েছে। তাই
গল্পটির নামকরণ সার্থক হয়েছে।
সারসংক্ষেপ ঃ সেলো, অ্যামি ও ভার্ন তিন বন্ধু। মেয়ারোতে থাকে। তারা রাস্তায় ক্রিকেট খেলছিল। ইতিমধ্যে বৃষ্টি এসে তাদের খেলা বন্ধ করে দেয়। সেলো ঘরে ঢুকে যায়। তারপর আবার বৃষ্টি থামার পর ভার্ন তাকে খেলতে ডাকে। তার ব্যাট করার কথা। কিন্তু অ্যামি তাকে ব্যাট দিতে চায় না। রাগের চোটে সে বন্ধুর ব্যাট ছুড়ে ফেলে দেয়। তাদের মধ্যে বন্ধু বিচ্ছেন ঘটে যায়। পরের বছর আবার বন্ধুরা মুখোমুখি হয়। তখন তার বন্ধু নিজের নতুন ব্যাট দিয়ে তাকে খেলতে দেয়।
শব্দার্থ : আলসে—কার্নিশ।
অপার্থিব—অলৌকিক।
নির্বিকার—উদাসীন, ভাবলেশহীন।
অধীর— অস্থির।
কলজে-হৃৎপিণ্ড।
বিষণ্ণ— দুঃখিত, মনখারাপ।
কিংকর্তব্যবিমূঢ়—কী করা উচিত ঠিক করতে না-
পারার অবস্থা।
অবাস্তব —যা বাস্তবসম্মত নয়।
অভিনব—নতুনত্ব।
উদ্ভাসিত—আলোকিত, উজ্জ্বল আভাযুক্ত। হুংকার- জোরে চিৎকার করা, গর্জন।
হাতে-কলমে অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১. বন্ধনীতে দেওয়া একাধিক উত্তরের মধ্যে সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে নীচের বাক্যগুলি আবার লেখো :
১.১ বর্ষাকালে এমনই ছিল (মেয়ারো/ব্রাজিল/ ত্রিনিদাদ)
উঃ। বর্ষাকালে এমনই ছিল মেয়ারো।
১.২ নেবুর পাতায় করমচা/ হে বৃষ্টি (ইতালিতে / লন্ডনে/স্পেনে) যা।
উঃ। নেবুর পাতায়. করমচা হে বৃষ্টি স্পেনে যা।
১.৩ (ধুত্তোর/নিকুচি/ভাল্লাগেনা) মনে মনে বললাম।
উঃ। নিকুচি মনে মনে বললাম।
১.৪ ভেতরে ভেতরে (গুমোট/দুর্যোগপূর্ণ/হিংস্র) আবহাওয়াকে আমি ভয় পেতাম।
উঃ। ভেতরে ভেতরে হিংস্র আবহাওয়াকে আমি ভয় পেতাম।
১.৫ অ্যামি ডাকে (হেড/টেল)।
উঃ। অ্যামি ডাকে টেল।
২. কার্য-কারণ সম্পর্ক অনুযায়ী পাশাপাশি বাক্য লেখো :
২.১ বর্ষাকালে রাস্তায় ক্রিকেট খেলার সুযোগ মিলত অল্পই।
উঃ। যেহেতু বর্ষাকালে বৃষ্টি হত, তাই রাস্তায় ক্রিকেট খেলার সুযোগ কম মিলত।
২.২ ওরা চেঁচাতে লাগল ‘নেবুর পাতায় করমচা/ হে বৃষ্টি, স্পেনে যা'।
উঃ। রাস্তায় ক্রিকেট খেলতে যত আনন্দ ঝমঝম বৃষ্টির মধ্যেও ততই আনন্দ। হুজুগে মেতে উঠে ওরা চেঁচাত। ‘নেবুর পাতায় করমচা/ হে বৃষ্টি স্পেনে যা'।
২.৩ ভেতরে ভেতরে হিংস্র আবহাওয়াকে আমি ভয় পেতাম।
উঃ। বৃষ্টি, বাজ, বিদ্যুতের শব্দ, ঝোড়ো হাওয়া ইত্যাদি আবহাওয়া হিংস্র হত। আমি ভেতরে ভেতরে ভয় পেতাম।
২.৪ লজ্জিত হয়ে মাটির দিকে তাকাই।
উঃ। অনেকদিন বন্ধু বিচ্ছেদের পর ভার্ন আর অ্যামির সঙ্গে সেলোর দেখা হয়, তারা তাকে ডাকে, সেলো লজ্জিত হয়। মাটির দিকে তাকায়।
২.৫ খোলা মেজাজে বলে 'নে সেলো তুইই আগে ব্যাট কর'।
উঃ। আবার নতুন করে বন্ধুদের মিলন হবার পর ভার্ন নতুন ব্যাট থেকে সেলোফেন কাগজ ছিঁড়ে খোলা মেজাজে বলল। বলল 'নে সেলো তুই আগে ব্যাট করা"।
২.৬ ওর চোখের কোণে জল চিকচিক করে দেখতে পাই।
উঃ। সেলো প্রথমে ব্যাট করতে না পেরে রেগে যায়। আবার টস করা হলেও সে হেরে যায়। তখন রাগে ভার্নের ব্যাট-বল বাড়ির পিছনের ঝোপে ফেলে দেয়। ভার্ন তা জেনেও মনে দুঃখ পায় কিন্তু খেলার প্রিয় বন্ধু হারিয়ে তার চোখে জল দেখা যায়। সেলো দেখতে পায় ওর চোখের কোনে জল চিকচিক করছে।
৩. নীচের বাক্যাংশগুলি কোন্ বিশেষ অর্থ প্রকাশ করেছে দেখো :
৩.১ বাতাস ছুটে এসে বদ মেজাজে ঝাপট মারত।
উঃ। রাগ।
৩.২ জামাকাপড় জুবজুবে।
উঃ ভেজাভাব।
৩.৩ বৃষ্টির ভয়ানক হাতুড়ি পড়তে লাগল।
উঃ। প্রচন্ড শব্দ।
৩.৪ তার মুখ উদ্ভাসিত।
উঃ আনন্দ।
৩.৫ ভার্ন ড্যাব ড্যাব করে চায়।
উঃ। আশ্চর্য ভাব।
৪. নীচের বিশেষ্যগুলি বিশেষণে আর বিশেষণগুলি বিশেষ্যে বদল করে বাক্যরচনা করো :
উঃ গোমড়া― (গম্ভীরতা) → কথায় কথায় সুমনের গম্ভীরতা দেখা যায়।
হুজুগে -(হুজুগ) → বেশি হুজুগে না-মাতাই ভালো।
চিৎকার- (চেঁচানো) শিশুর চেঁচানোতে মা অস্তির হয়ে উঠেছেন।
সাহসী -(সাহস) → সব ব্যাপারে বেশি সাহস দেখানো ঠিক নয়।
অভিনব - (নতুনত্ব) → এবারের পুজোয় মন্ডপগুলির নির্মাণে ছিল অভিনব পরিকল্পনা।
৫. নীচের বাক্যগুলিতে কোন্ কোন্ শব্দে বচন কীভাবে নির্দেশিত হয়েছে তা লেখো :
৫.১ ওরা হাসছে।
উঃ। ওরা—বহুবচন।
৫.২ ঝুলে পড়া মেঘগুলি ঘন কালো হয়ে উঠত।
উঃ। মেঘগুলি বহুবচন।
৫.৩ অ্যামি আমাদের উঠোনে।
উঃ। অ্যামি—একবচন, আমাদের
৫.৪ এমন সময় কলজেটা যেন লাফ দিয়ে উঠল।
উঃ। কলজেটা—একবচন।
৫.৫ পকেট থেকে একটা পেনি বার করে বলে টস কর'।
উঃ। একটা—একবচন।
৬. নিম্নরেখ অংশের কারক-বিভক্তি নির্ণয় করো :
৬.১ সবে দৌড়ে ফিরেছি বৃষ্টি থেকে।
উঃ। করণকারকে ‘শূন্য' বিভক্তি।
৬.২ আর মুখ একেবারে ভেজা।
উঃ। কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
৬.৩ আমি দাঁড়িয়ে রইলাম।
উঃ। কর্তৃকারকে শূন্য বিভক্তি।
৬.৪ আমি ছিটকে চলে গেলাম খাটের তলায়।
উঃ। অধিকরণ কারকে শূন্য বিভক্তি।
৬.৫ ভার্ন রাস্তা থেকে চেঁচিয়ে ডাকে।
উঃ। অধিকরণ কারকে শূন্য বিভক্তি।
৭. নীচের বাক্যগুলি থেকে উপযুক্ত প্রশ্ন তৈরি করো :
৭.১ রাস্তায় ক্রিকেট খেলতে ওদের যত আনন্দ, ঝমঝম বৃষ্টিতেও যেন তত।
উঃ। ওরা রাস্তায় ক্রিকেট খেলার মতো আনন্দ আর কীসে পায় ?
৭.২ ভার্ন আলসের তলায় আশ্রয় নিয়েছিল।
উঃ। ভার্ন কোথায় আশ্রয় নিয়েছিল?
বহুবচন।
৭.৩ আবার কী ভয়ংকর বজ্রপাতের শব্দে আকাশ কেঁপে উঠল।
উঃ। আবার কীসের শব্দে আকাশ কেঁপে উঠল?
৭.৪ দৌঁড়ে যাই, যেখানে ভার্নের ব্যাট আর বল রেখেছিলাম।
উঃ। কোথায় দৌড়ে যাই?
৭.৫ আমি অনেকবার ঠিক করেছি সাহসী হব, কিন্তু যখনই বাজ পড়ত অমনি ছিটকে ঢুকতাম খাটের তলায়।
উঃ। ছেলেটি কী ঠিক করেছিল? সে কোথায় গিয়ে ঢুকত?
৮. উদ্ধৃতি চিহ্ন পরিহার করে বাক্যগুলি নিজের ভাষায় লেখো :
৮.১ 'আমি দু-নম্বর ব্যাট, ডার্ন বলে। উঃ। ভার্ন বলে যে, তার দু-নম্বরে ব্যাট করার কথা।
৮.২ সে বলে সেলো, ব্যাট আর বল কোথায়?
উঃ। সে সেলোর কাছে জানতে চায় তার ব্যাট আর বল কোথায় আছে।
৮.৩ 'ভার্ন' সে চেঁচিয়ে ডাকে 'এই ভার্ন দ্যাখ, সেলো।
উঃ। সে চেঁচিয়ে ভার্নকে ডেকে সেলোকে দেখায়।
৯. কোনটি কোন্ দেশের মুদ্রা উল্লেখ করো :
উঃ। পেনি—ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ডলার —আমেরিকা।
পেসো — স্পেন।
বল–রাশিয়া।
টাকা—ভারত/বাংলাদেশ।
১০. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১০.১ তোমার রাজ্যের কোন দিকে সমুদ্র রয়েছে?
উত্তর- আমার রাজ্যের দক্ষিণ দিকে সমুদ্র রয়েছে।
১০.২ খেলাধুলা নিয়ে লেখা তোমার পড়া বা শোনা একটি গল্পের নাম পেলো।
উঃ। মতি নন্দীর লেখা 'স্টপার'।
১০.৩ ঘরের ভিতরের ও বাইরে দুটি খেলার নাম লেখো।
উঃ। ঘরের ভিতরের খেলা- ক্যারাম
ঘরের বাইরের খেলা - ফুটবল
১০.৪ তোমার রাজ্যের একজন বিখ্যাত ক্রিকেট খেলোয়াড়ের নাম লেখো।
উঃ। সৌরভ গাঙ্গুলি।
১০.৫ তোমার জানা ঋতু বিষয়ক যে কোনো একটি ছড়ার প্রথম পঙক্তি লেখো।
উঃ। ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদেয় এল বান'।
১১. নীচের প্রশ্নগুলির দু-একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১১.১ মাঠের খেলাধুলার সঙ্গে রাস্তার খেলাধুলার ফারাকগুলি লেখো।
উঃ। মাঠের খেলাধুলার জায়গা অনেক বেশি, রাস্তায় জায়গা কম। মাঠে পড়ে গেলে চোট লাগবে কম, কারে ইট পাথর থাকায় চোট লাগবে বেশি।
১১.২ সমুদ্রের ধারে ঝড় কীভাবে ভয়ংকর হয়ে ওঠে?
উঃ। সমুদ্রের ধারে হাওয়া বাধাপ্রাপ্ত হয় না। তাই ঝড়ের বেগ ক্রমশ বেড়ে ওঠে। সমুদ্র হুংকার দেয়, বাতাসের তেজ আর মেঘের গর্জন চরমে ওঠে।
১১.৩ গল্পে মোট ক-টি কিশোর চরিত্রের সন্ধান পেলে? গল্পের একমাত্র বয়স্ক চরিত্রটি কে?
উঃ। গল্পে মোট তিনটি কিশোর চরিত্র রয়েছে। গল্পের একমাত্র বাস্ক চরিত্র হলেন ভার্নের মা।
১১.৪ সেলো ভার্নের ব্যাটবল কেন ও কোথায় ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল?
উঃ। সেলো প্রথমে ব্যাট করতে চেয়ে টসে হেরে গিয়েছিল তাই সে রাগে ও বেদনায় ভার্নের বল ও ব্যাট বাড়ির পেছনের ঝোপে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল।
১১.৫ তাদের বিবাদ কীভাবে মিটে গেল ?
উঃ। নতুন বছরে তাদের সেলো, ভার্ন আর অ্যামির আবার দেখা হল। তখন ভার্ন তার নতুন ব্যাট দিয়ে সেলারে প্রথম ব্যাট করতে দিল। এভাবেই তাদের বিবাদ মিটে গিয়েছিল।
১২. ‘রাস্তায় ক্রিকেট খেলা' গল্পটি পড়ে কোন্ কোন্ অনুসঙ্গে মনে হল গল্পটি বিদেশি গল্প?
উঃ। প্রথমত—লেখকসহ কিশোর চরিত্রগুলির নাম, তাদের শহরের নাম এবং তাদের মুদ্রার নাম পড়ে বালি পটভূমি বিদেশ এবং গল্পটি বিদেশি বলে বোঝা যায়।
১৩. তোমার নিজের চেনা পরিবেশ ও চরিত্রের সঙ্গে গল্পের মিলগুলি সূত্রাকারে লেখো। শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে দেশটির অবস্থান দেখে নাও।
উঃ। নিজে করো।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর •
প্রশ্ন:- লেখক কখন বৃষ্টি পড়ে বলে লিখেছেন?
উঃ। লেখক যখনই ব্যাট করেন তখনই বৃষ্টি পড়ে।
প্রশ্ন:- ভার্ন চকচকে নতুন ব্যাটটা থেকে কী ছিঁড়েছিল ?
উঃ। ভার্ন চকচকে নতুন ব্যাটটার ওপর থেকে সেলোফেন কাগজ ছিঁড়ছিল।
প্রশ্ন:- ভার্ন পকেট থেকে কী বার করে এবং কী করতে বলে?
উঃ। ভার্ন পকেট থেকে একটি পেনি বার করে বলে টস কর'।
প্রশ্ন:- কারা ঝোপের মধ্যে অদৃশ্য হল?
উঃ। ভার্ন ও অ্যামি ঝোপের মধ্যে অদৃশ্য হল।
প্রশ্ন:- ছাতের ওপর কী পড়তে লাগল?
উঃ। ছাতের ওপর বৃষ্টির ভয়ানক হাতুড়ি পড়তে লাগল।
প্রশ্ন:- যখন বাজ পড়ত তখন লেখক কী করত?
উঃ। যখনই বাজ পড়ত তখনই লেখক ভয় পেয়ে ছিটকে দিয়ে ঢুকত খাটের তলায়।
প্রশ্ন:- লেখক কোন্ কোন্ জিনিসকে ভয় পেতেন?
উঃ। লেখক মনে মনে হিরো আবহাওয়াকে ভয় পেতেন। তিনি বৃষ্টি, বাঙ্গ-বিদ্যুৎ, উপকূলের
ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর সবকিছু মড়ার মত হয়ে থাকার অবস্থাকে ভয় পেতেন।
প্রশ্ন:- 'ব্যথা পেয়ে চেঁচিয়ে উঠি, আমি খেলবই না। -কে কেন চেঁচিয়ে উঠেছিল ? এর পর কি হলো?
উঃ। ভার্ন খেলার জন্য পকেট থেকে একটি পেনি বের করে টস করে। দেখা গেল টেল পড়েছে। হেরে গিয়ে মনে ব্যথা পেয়ে লেখক সেলো চেঁচিয়ে বলে সে খেলবেই না।
এরপর রেগে গিয়ে আরও উৎপাত করার জন্য সেলো দৌড়ে যায় যেখানে সে ভার্ন-এর ব্যাট ও বল রেখেছিল। তারপর ব্যাট ও বল নিয়ে গায়ের জোরে বাড়ির পিছনের ঝোপে সে ছুঁড়ে ফেলে দেয়।
প্রশ্ন:- 'বর্ষাকালে এইরকমই ছিলো মেয়ারো'- মেয়ারো কীরকম ছিল বলে লেখক জানিয়েছেন ?
উঃ। বর্ষাকালে মেয়ারো শহরের আকাশ সবসময় মেঘে ঢাকা থাকত। সমুদ্রের উপর জল ভরা কালো মেঘ থাকত আর বাতাস ছুটে এসে বদমেজাজে নারকেল বনে ধাক্কা মারত। বাতাসের তেজ ও গর্জন যখন চরনে উঠত, তখন মেঘগুলো ঘন কালো হয়ে উঠতো, সমুদ্র হুংকার দিত আর বৃষ্টির ফলাগুলো হট্টরোল করে ভেঙে পড়ত।
প্রশ্ন:- 'নেবুর পাতা করমচা/ হে বৃষ্টি স্পেনে যা'—গল্পটিতে ছড়াটি কারা বলত? এটি গল্পে কোথা থেকে অনুসরণ করে লেখা হয়েছে?
উঃ। ছড়াটি গল্পে ভার্ন ও অ্যামি বলত।
ছড়াটি বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের লেখা 'পথের পাঁচালী' উপন্যাসের দুটি প্রধান চরিত্র অপু ও দুর্গার মুখে বলা "নেবুর পাতা করমচা/হে বিষ্টি ধরে যা' অনুসরণে লেখা হয়েছে।
প্রশ্ন:- সমার্থক শব্দ : বৃষ্টি, বারিপাত, বাজ, সমুদ্র, গাছ, মাটি।
উঃ। বৃষ্টি বারিপাত, বারিধারা।
বাজ -অশনি, বজ্রপাত।
সমুদ্র – জলধি, অর্ণব, পরাপার।
গাছ—তবু, পাদপ,
বৃক্ষ। মাটি—মুক্তিকা, রঃ।
প্রশ্ন:- বাক্য বাড়াও
(ক) ভেঙে পড়ত আমাদের ওপর। (কে? কীভাবে ?
উঃ । বৃষ্টির ফলাগুলো হটরোলে ভেঙে পড়ত আমাদের ওপর।
(প) আমি টিকে চালে গেলাম। (কেন? কোথায় ? উঃ । আবার বাজ পড়ল আর আমি ছিটকে চলে গেলাম খাটের তলায়।
(গ) চোখের কোণে জল চিকচিক করে, দেখতে পাই। (কার ? কখন ?)
উঃ। উঠোন থেকে বেরিয়ে যাবার সময় ভার্নের চোখের কোণে জল চিকচিক করে।
(ঘ) সেলোফোন কাগজ ছিঁড়ছে। (কে? কোথা থেকে?) । ভার্ন চলচকে নতুন ব্যাটটার ওপর থেকে সেলোফেন কাগজ ছিঁড়ছে।
পদ পরিবর্তন করো : সাহস অভিনব, মাতাল, মতলব
সাহস-সাহসী
অভিনব অভিনবত্ব।
মাতাল - - মাতলামি।
মতলব—মতলবি ।
বিপরীত শব্দ :
অপার্থিব — পার্থিব।
হিংস্র —শান্ত।
ব্যথা—আরাম।
সাহসী — ভীরু।
অবাস্তব —বাস্তব।
লজ্জিত—গর্বিত।
